পুরনো রোগের বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা। ব্যবসায় শুভত্ব বজায় থাকবে। আর্থিক প্রগতিও হবে। ... বিশদ
শুরুটা কেমন ছিল? রায়তী বললেন, ‘আমার বাবা হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। ছোটবেলায় বলতাম বাবার মতো ডাক্তার হব। যদিও ছোট থেকে আঁকতে ভালোবাসতাম। বড় হওয়ার পর মনে হল আমি আঁকা নিয়েই এগতে চাই। কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছিলাম। রেজাল্টও ভালো ছিল। জয়েন্ট দিয়ে প্রথমবারেই সুযোগ পেয়ে পাই। বাবা বলেছিল, আর্টিস্ট হওয়া পরে হবে। ওটা শখ, পেশা হতে পারে না। ফলে নিমরাজি হয়েই ডাক্তারি পড়তে ভর্তি হয়েছিলাম।’
হাওড়া নিতাইচরণ চক্রবর্তী কলেজের প্রাক্তনী রায়তী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। কিন্তু স্টেথোস্কোপের থেকেও মঞ্চকে কয়েকগুণ বেশি ভালোবাসেন। গত ১১ বছর ধরে থিয়েটার করছেন। ‘শেষ পাতা’ ছবি হিসেবে তাঁর প্রথম বড় মাপের কাজ। এমন একটা চরিত্র কি আরও আগে তাঁর পাওয়া উচিত ছিল না? একটু অন্যভাবে ভাবেন রায়তী। বললেন, ‘আমার মনে হয় ‘শেষ পাতা’ অন্যধরনের ছবি। রেসপন্স খুব ভালো। এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। আমি বিশ্বাস করি যখন যেটা হওয়ার তখনই সেটা হবে। হয়তো ওই ১১ বছরের চর্চা আমার প্রয়োজন ছিল। হয়তো কয়েক বছর আগে এই চরিত্রটা পেলে জাস্টিফাই করতে পারতাম না।’
থিয়েটারের চর্চা রয়েছে, এটা কি বাংলা মেনস্ট্রিম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেয়? রায়তীর ব্যাখ্যা, ‘অভিনয়ের তো অ আ ক খ থাকে। থিয়েটার করলে মঞ্চের টেকনিক্যাল দিকগুলো শেখা যায়। টেলিভিশন করলে ক্যামেরার টেকনিক্যাল দিক শেখা যায়। বরং থিয়েটার থেকে কেউ ছবি করতে এলে মিডিয়াম বদলে যাওয়ায় টেকনিক্যাল দিকগুলো নিয়ে প্রাথমিক ভাবে সমস্যা হয়। থিয়েটারে অভিনয় চর্চাটা যেহেতু প্রতিদিন হয়, সেই দিক থেকে একটু এগিয়ে থাকা যায় মনে হয়।’
অভিনেতা হিসেবে যে কোনও মাধ্যমে কাজ করতে চান রায়তী। হাতে রয়েছে একটি ওয়েব সিরিজের কাজ। ‘কাস্টিং কাউচ’ এই ইন্ডাস্ট্রির বড় পরিচিত শব্দ। রায়তীর কী অভিজ্ঞতা? স্পষ্ট বললেন, ‘২০১৭ থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। আমাকে এমন কিছু সামলাতে হয়নি। বহু পরিচালক মঞ্চে আমার কাজ দেখে আমাকে সরাসরি ডেকেছেন। তবে আমি শুনেছি এমন হয়। একেবারে হয় না, তা বলব না।’
চিকিৎসার পেশা থেকে এখন অনেকটা দূরে রায়তী। ভবিষ্যতে কি ফের ফিরে যাবেন ওই পেশায়? হেসে বললেন, ‘এখন চ্যারিটেবল প্র্যাকটিস করি। আর নিজে নিজের ওষুধই খাই। তবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে পুরোদস্তুর প্র্যাকটিসে ফেরার ইচ্ছে নেই। তারপরে কী হবে জানি না। আপাতত অভিনয়ে মন দিতে চাই।’