সম্প্রতি রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে উত্তরা ডান্স অ্যাকাডেমি বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। ওড়িশি নৃত্যের প্রায় দশটি পদ পরিবেশন করেন সংস্থার শিক্ষার্থীরা। মধুবন্তী রাগে ও অর্ধঝম্পা তালের মেলবন্ধনে প্রথম নৃত্যপদটি পরিবেশন করেন সুতনুকা দাস। কাকলি বোসের নৃত্যনির্মিতে ও সুরেশ ওয়াদকরের সঙ্গীতে ‘বিঘ্নেশ্বরায়’ পরিবেশন করেন তন্নিষ্ঠা, ত্রিজিতা, সৌজন্যা, বনানী, ও জয়িতা। শিল্পীদের মধ্যে দক্ষতা ও উপযুক্ত অনুশীলনের ছাপ স্পষ্ট। বটুক ভৈরবের উদ্দেশ্যে রচিত ‘বটু’ ছিল পরবর্তী নিবেদনে। মোহনা রাগ ও একতালিতে নিবদ্ধ এই নৃত্যপদটিতে অংশগ্রহণ করেন ঋদ্ধিমা, সৃজলীনা, প্রার্থিতা, মৌসুমী, অজয় ও অন্যান্যরা। একতালে নিবদ্ধ ও বিনাহারী রাগে বিলহারী পল্লবী ও দেশ রাগে ‘দেশপল্লবী’ তাঁদের পরিবেশনার অন্য দুটি নৃত্যপদে সুর, তাল ও ছন্দবদ্ধ অঙ্গসঞ্চালনা দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। আরভী রাগে ‘সাভিনয় নাচন্তি’ পরিবেশন করেন মাম্পি, সুদেষ্ণা, অনিন্দিতা, মৈত্রেয়ী সহ আরও অনেক শিল্পী। চিরশ্রী রায়ের নিবেদনের ‘ওড়িয়া অভিনয়’ নৃত্যে বিবাহের প্রাক্কালে সীতার রূপ বর্ণনা এক অন্য মাত্রা পায়। ‘অষ্টপদী অভিনয়’ -এ রাধাকৃষ্ণের প্রথম মিলনের স্মৃতিচারণায় কাকলি বোসের অভিব্যক্তি প্রকাশের ভঙ্গিমা এক কথায় অনবদ্য। জয়দেবের গীতগোবিন্দ থেকে গৃহীত ‘শ্ৰীতকমলা’-তে কৃষ্ণের কালিয়াদমন ও রাবণবধের বর্ণনা করা হয়েছে। সবশেষে ভৈরব রাগে ‘মোক্ষ’ পরিবেশন করেন মৌমিতা, পূবালী, তিথি এবং অন্যান্যরা। নৃত্যরচনা করেন পদ্মভূষণ গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেন পণ্ডিত ভুবনেশ্বর মিশ্র।