পারিবারিক ধর্মকর্ম পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। সন্তানের কর্মসাফল্যে গর্ব। গবেষণায় অগ্রগতি। ... বিশদ
পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বিরোধীরা হাজারো কুৎসা করেছেন। তাও ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, গ্রামবাংলা তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে।’ তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই বক্তব্য আবেগ দিয়ে প্রমাণ করলেন নদীয়ার বৃদ্ধ দম্পতি। তেহট্ট ২ নম্বর ব্লকের হাঁসপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ৬৯ বছর বয়সি হরিকৃষ্ণ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী রমা মণ্ডল। পেশা মূলত চাষবাস। তাঁদের তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। প্রত্যেকেই বিবাহিত। ছোট ছেলে ও বউমার সঙ্গে শুক্রবার ভোরে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন দম্পতি। সকাল ৮টা নাগাদ শহরে আসেন তাঁরা। শিয়ালদহে এসেই জীবনসাথীর এত বছরের প্রতীক্ষিত সাধ পূরণ করেন স্বামী। স্টেশন থেকে ডালহৌসি আসেন হলুদ ট্যাক্সিতে চড়ে। হরিকৃষ্ণবাবু বলেন, গেট খুলে বউয়ের হাত ধরে সিটে বসিয়েছি। গন্তব্য ছিল ধর্মতলা। তবে মূল সভামঞ্চ নয়। কিন্তু কেন? গৃহকর্তা বলেন, ওখানে গেলে দিদিকে অনেক দূর থেকে দেখতে হয়। আমি আগেও এসেছি, কিন্তু, বউকে সামনে থেকে দেখাতে চেয়েছিলাম। তাই রাজভবনের উল্টোদিকে এক অভিজাত হোটেলের সামনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করেন তাঁরা। বেলা ১২ বেজে ৫০ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী বের হন বাড়ি থেকে। এরপরেই দড়ি দিয়ে আটকে দেওয়া হয় সেই হোটেলের সামনের রাস্তা। দড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ান দম্পতি। ১টা বেজে ৪ মিনিটে সেখানে আসে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে দম্পতির চিৎকার, ‘দিদি, দিদি...’।